কখনো সাজায় ধূপ কখনো বা মাল্য, গ্ল্যাক্সোধারায় মনে এনে দেয় বাল্য। সরিষার তেলে দেহ দেয় ক'ষে মাজিয়া। নিয়মের ত্রুটি হলে করে ঘোর কাজিয়া-- কোথা হতে নেমে আসে বকুনির ঝাঁক তার, তর্জনী তুলে বলে "ডেকে দেব ডাক্তার'। এইমত বসে আছি আরামে ও ব্যারামে যেন বোগ্দাদে কোন্ নবাবের হ্যারামে॥
মালা হতে খসে-পড়া ফুলের একটি দল মাথায় আমার ধরতে দাও গো ধরতে দাও। ওই মাধুরী-সরোবরের নাই যে কোথাও তল-- হোথায় আমায় ডুবতে দাও গো মরতে দাও। দাও গো মুছে আমার ভালে অপমানের লিখা, নিভৃতে আজ বন্ধু, তোমার আপন হাতের টিকা ললাটে মোর পরতে দাও গো পরতে দাও। বহুক তোমার ঝড়ের হাওয়া আমার ফুলবনে, শুকনো পাতা মলিন কুসুম ঝরতে দাও। পথ জুড়ে যা পড়ে আছে আমার এ জীবনে দাও গো তাদের সরতে দাও গো সরতে দাও। তোমার মহাভাণ্ডারেতে আছে অনেক ধন, কুড়িয়ে বেড়াই মুঠা ভ'রে, ভরে না তায় মন-- অন্তরেতে জীবন আমার ভরতে দাও।